হাওযা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ বিকেলে ইমাম কাজিম (আ.) ধর্মীয় বিদ্যালয়ের সম্মেলন হলে ক্বোম ইসলামি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পুনঃপ্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ-মেহদি শবজিন্দেহদার বলেন: ইসলাম যদি আজ পর্যন্ত টিকে থাকে, তবে তা ইমাম মাহদী (আ.জ.)-এর গায়েবতের যুগে বরেণ্য আলেম ও মুজতাহিদদের নিরলস প্রচেষ্টারই ফল।
তিনি উল্লেখ করেন যে, হাওযার সূচনা ইমাম মাহদীর গায়েবতের আগের সময় থেকে এবং ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর যুগেই একটি সমৃদ্ধ ও সক্রিয় ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা দেখা গিয়েছিল।
তিনি বলেন, রেওয়ায়েত ও হাদীসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে— যদি হাওযা ও আলেমগণ না থাকতেন, তাহলে ইসলামী বিধানগুলো কেউ উপলব্ধি ও ব্যাখ্যা করতে পারত না। হাওযাভিত্তিক ইসলামই টিকে আছে, আর এটাই হাওযার উপর গুরুতর দায়িত্ব আরোপ করে।
তিনি আরও বলেন, ইসলাম মানুষের যাবতীয় বিষয়ের জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে, আর হাওযার দায়িত্ব তা বিশ্লেষণ ও প্রয়োগে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।
আয়াতুল্লাহ শবজিন্দেহদার স্পষ্ট করে বলেন, মহান নেতার নীতিমালা কেবল হাওযার জন্যই নয়, বরং সমগ্র শিয়া সমাজের জন্য একটি রোডম্যাপ বা পথনির্দেশিকা। এ কারণে হাওযা, উচ্চ পরিষদ এবং সব শিক্ষককে তাঁর দিকনির্দেশনা ও মুজতাহিদদের নেতৃত্বে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতিহাসজুড়ে হাওযা সবসময়ই অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। তাই হাওযার রক্ষার্থে তালেবে ইলম (ছাত্র) ও ওলামাগণকে সচেতনভাবে পথ বেছে নিতে হবে এবং সব স্থানে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি সতর্ক করেন, যদি হাওযার রক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়া হয়, তাহলে এর ক্ষতি সবাইকে ভোগ করতে হবে। কারণ, হাওযার দায়িত্ব অনেক বড় এবং তারা সমাজের প্রশ্ন ও সমস্যার উত্তরদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
শেষে তিনি বলেন, আজকের দিনে হাওযাকে এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে, বিশেষত সমকালীন ফিকহের (ইসলামী আইনশাস্ত্র) চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আলেম, গবেষক ও শিক্ষকগণকে এই বিষয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
আপনার কমেন্ট